ঢাকা , রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫ , ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে অর্থনীতি স্থবির হবে না-অর্থ উপদেষ্টা কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ঘরমুখো মানুষের ঢল শেরপুরে পাটচাষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিরলে মতিউর রহমানের মডেল কৃষি বাড়ি দেখতে আসছেন অনেকে কলারোয়ায় তিন ‘স’ মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কুড়িগ্রামে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে জীবন্ত গরু-ছাগল সিরাজগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ঈদ উৎসবে জমজমাট ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬০৫২১ জন ক্রিমিয়া রেলসেতুতে ১১০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে হামলা যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইরানের সুদানে গৃহযুদ্ধের কারণে দেশ ছেড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ৩৬ জনের মৃত্যু মার্কিন অভিনেতা জোনাথন জসকে গুলি করে হত্যা রোমান্টিক সময় কাটাচ্ছেন তাহসান-রোজা দম্পতি কাঁধে কাঁধ মেলালেন শাকিব-নিশো চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেলো তাণ্ডব ‘অপারেশন সিঁদুর’ কল্যাণ জয় পেয়েছে বেঙ্গালুরুর!

বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে ডেঙ্গু বিস্তারের শঙ্কা

  • আপলোড সময় : ১৫-০৮-২০২৪ ১২:২৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৮-২০২৪ ১২:২৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে ডেঙ্গু বিস্তারের শঙ্কা
দেশে এবার বৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে ডেঙ্গু বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছেচলতি বছর বর্ষার শুরুতে বৃষ্টিপাত কম হওয়া ও তাপ বৃদ্ধির কারণে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব তুলনামূলকভাবে কমতবে বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গুর প্রকোপ কমার কোনো লক্ষণ দেখছেন নাতাদের মতে, এ বছর ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব অনেক বেশি পাওয়া গেছেএর সঙ্গে মশা ও ভাইরাস দুটিই পর্যাপ্ত রয়েছেফলে চলমান বৃষ্টিপাতে রোগী ব্যাপক হারে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছেস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি বছর এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়এর মধ্যে মারা গেছে ৪৬ জনগত বছর এই সময়ে রোগী ছিল ১০ হাজার ৪৫৫ জন আর মৃত্যু হয় ৬২ জনেরতবে গত বছরের তুলনায় রোগীর সংখ্যা কম হলেও এ নিয়ে স্বস্তির সুযোগ নেইকারণ ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দুই জায়গায় এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব এবার অনেক বেশি পাওয়া যাচ্ছেআর চলমান বৃষ্টিপাতের কারণে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়তে পারেকারণ প্রজননের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত দুটিই এখন বিরাজমানসূত্র জানায়, সাধারণত জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর- এই কয়েক মাস ডেঙ্গুর জন্য উচ্চঝুঁকি থাকেএই সময়ে বৃষ্টি হয়, মশার প্রজননের জন্যও উপযুক্ত তাপমাত্রা থাকেসাধারণত মশা প্রজননের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসতবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে হলে মশার প্রজনন কমে যায়আবার অতিবৃষ্টি এডিস মশার ঘনত্ব কমিয়ে দেয়তবে থেমে থেমে বৃষ্টি এডিস মশার ঘনত্ব বাড়ায়এখন বৃষ্টি কোন ধরনের হচ্ছে, এর ওপর নির্ভর করবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে এবং তা কী রূপ নিতে পারেসূত্র আরো জানায়, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি মশক পরিকল্পনা প্রয়োজনষাটের দশকে যেভাবে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা হয়েছিল, ডেঙ্গু নির্মূলে এর কাছাকাছিও যাওয়া সম্ভব হয়নিসেজন্য শহর ও গ্রামে একসঙ্গে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজনতাছাড়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দ্রুত কমানো সম্ভব নয়তবে প্রতিদিন মশা নিধন কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে কয়েক বছরে রোগীর সংখ্যা কমে আসবেএ ক্ষেত্রে সরকারের নেতৃত্ব ও সহায়তায় কমিউনিটিভিত্তিক সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণডেঙ্গুতে প্রাণহানি কমাতে তিন ধাপে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবেপ্রাথমিক স্তরে রোগীর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা দেয়ার জন্য শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা স্থাপন করা, যাতে হাসপাতালের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না হয়এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ৩৫.৮৮ শতাংশ ঢাকা মহানগর ও ৬৪.১২ শতাংশ ঢাকার বাইরেরআক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৯.৩ শতাংশ নারী ও ৬০.৭ শতাংশ পুরুষমৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৫.৬ শতাংশ নারী ও ৪৪.৪ শতাংশ পুরুষদেশে প্রথম ২০০০ সালে ডেঙ্গুর বড় ধরনের প্রকোপ দেখা দেয়এরপর থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে গত বছরওই বছর আক্রান্ত হয় তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ও মৃত্যু হয় এক হাজার ৭০৫ জনেরএর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রথমবার এক লাখ ছাড়ায়, সে বছর ভর্তি হয়েছিল এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জনমৃত্যু হয় ১৭৯ জনেরঅন্যদিকে ডেঙ্গু প্রসঙ্গে কীটতত্ত্ববিদ জি এম সাইফুর রহমান জানান, ডেঙ্গুর একই সেরুটাইপ (ধরন) গত বছরে ছিলএ বছর একই ধরনের সেরুটাইপ থাকায় আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কমএ ছাড়া গত মাসে বৃষ্টিপাত ছিল নাতাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি, যে কারণে মশার প্রজনন কম হয়েছেতবে বর্তমানে বৃষ্টির যে ধরন, এতে প্রজননস্থল বেড়ে এডিসের সংখ্যাও বাড়বেতাই এখন এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণমূলত এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু না বাড়ার কারণ সরকারের নেয়া নানা রকম উদ্যোগ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স